এপ্রিল 25, 2024
আলহাজ্ব মরহুম মোঃ তরিক উল্যাহ মাষ্টার
(১৮৮৫-১৯৮০)
পিতাঃ আলহাজ্ব মরহুম মোঃ ছফর উদ্দিন আঢ্য
আমার দাদা মরহুম জনাব মোঃ তরিক উল্যাহ মাষ্টার সাহেব জন্মগ্রহন করেন ১৮৮৫ সালে। উনার পিতা মরহুম জনাব ছফর উদ্দিন আঢ্য সাহেব আঠারো শতকের শেষের দিকে নতুন বাড়ী থেকে চলে আসেন। আজও এই বাড়ীটি নতুন আঢ্য বাড়ী নামে পরিচিত। মরহুম জনাব ছফর উদ্দিন আঢ্য সাহেব আট ছেলে ও তিন মেয়ের জনক ছিলেন। উনি খুব বুদ্ধিমান এবং কমঠ ছিলেন। সেই সময় এমন একটা সুন্দর বাড়ী শুধুমাত্র হিন্দু জমিদার বাড়ী ছাড়া আশা করা যেতো না। সেই সময়ের উনার চিন্তা ও পরিকল্পনা দেশে আজও আমরা বিস্মিত না হয়ে পারি না। উনি সেসময় বাড়ীর ভিতরে ও বাহিরে পাকা ঘাট ও পাকা ল্যাট্রিন তৈরী করেছিলেন। মেয়েদের পর্দা-পুষিদার জন্য ভিতরের পাকা ঘাটের দুই পার্শ্বে পাকা দেওয়াল উঠিয়ে দিয়ে ছিলেন। উনার বাড়ীতে এমন সব বিরল প্রজাতির গাছ পালা ছিল যা শুধু হিন্দু জমিদার বাড়ীতে দেখা যেতো। উনার অনেক তালুক ছিল। উনি ছেলেদের লেখা পড়ার প্রতি খুবই যন্ত্রবান ছিলেন। উনার বড় ছেলে মরহুম জনাব ওয়াজিদ উদ্দিন আঢ্য সাহেব তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে অল্প বয়সে মারা যান। উনার দ্বিতীয় ছেলে মরহুম জনাব জীতু আঢ্য সাহেব ১৮৯৪ সালে এন্ট্রেন্স পাশ করেন। মনে হয় উনিই এই এলাকায় প্রথম এন্ট্রেন্স পাশ করেন। উনি রেলওয়ের ষ্টেশন মাষ্টার হিসাবে সারা জীবন চাকুরী করেন। ভাইদের লেখাপড়া ও বাড়ীঘর তালুক সবই উনার অবদান। উনার দুর্ভাগ্য যে উনার কোন পুত্র সন্তান ছিল না। পাঁচ মেয়ে রেখে পিতার মৃত্যুর বার বৎসর আগে তিনি ১৯৩০ সালে মারা যান। মরহুম জনাব ছফর উদ্দিন আঢ্য সাহেবের তৃতীয় ছেলে মরহুম জনাব আসলাম আঢ্য মুল বাড়ীতে থেকে যান। চতুথ ছেলে কোন ওয়ারিশ রখে যেতে পারেনি। পঞ্চম ছেলে মরহুম জনাব মোঃ তরিক উল্যা মাষ্টার এর ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৯০৩ সালে এন্ট্রেস পাশ করেন। উনি ১৯০৭ সালে বি.এ পাশ করেন। উনি সরকারী চাকুরী পছন্দ করতেন না বলে মাষ্টারী করতেন। উনি চাটখিল স্কুলের অংকের শিক্ষক ছিলেন। আজীবন এই স্কুলেই মাষ্টারী করেন। উনার ছোট দুই ভাই মরহুম জনাব ইউনুস আঢ্য মিঞা ও মরহুম জনাব ফজলুর রহমান সাহেব বেশীদুর পযন্ত লেখাপড়া করেনি। উনার ছোট ভাই জনাব গোলাম রহমান এন্টেস পযন্ত লেখাপড়া করেন।
আলহাজ্ব জনাব তরিক উল্যা মাষ্টার সাহবের ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে ছিল। সব ছেলেই শিক্ষিত ছিল। উনার ২য় ছেলে মরহুম জনাব আতিক উল্যা ১৯৪২ সালে মেন্ট্রিক পাশ করে টি এন্ড টি- তে চাকুরী করতেন। চাকুরী জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তিনি ১৯৫৭ সাল ঢাকায় মারা যান। উনার একমাত্র ছেলে আমি হুমায়ুন হাবিবুল রসুল (বাহার) এম.এ পাশ করে বতমান চাকুরী করছি। আমার ২ মেয়ে কলেজে লেখাপড়া করছে।
লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন হুমায়ুন হাবিবুল রসুল (বাহার)
