Skip to content Skip to main navigation Skip to footer

মাস এপ্রিল 2024

মরহুম জনাব মোশারফ হোসেন

(১৯১৫-১৯৭১)

পিতাঃ মরহুম জনাব ছলিম উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা মোঃ মোশারেফ হোসেন সাহেব ১৯১৫ সালে জন্মগ্রহন করেন। আমার পিতার ৫ ভাই এবং ২ বোন ছিলো। আমার নানা জালাল উদ্দিন উনার একমাত্র মেয়ে আছিয়া খাতুনকে উনার বড় ভাই সলিম উদ্দিনের বড় পুত্র মোশারেফ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেন। আমি আমার পিতামাতার একমাত্র পুত্র সন্তান। আমার চাচারা সব খামার বাড়ীতে চলে যান। আমার পিতা উনার শ্বশুর জালাল উদ্দিনের সম্পত্তি নিয়ে মুল বাড়ীতে থেকে যান। আমার পিতা ৫৬ বৎসর বয়সে ১৯৭১ সালে মারা যান। আমার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। আমি বতমানে পুরাতন বাড়ীতে থাকি। আমার চাচারা সকলে খামার বাড়ীতে থাকেন। বতমানে আমার ছোট চাচা ছাড়া অন্য সকলেই মারা গেছেন।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                                       ইব্রাহিম খলিল (খোকা)

Read more

আলহাজ্ব মরহুম মৌলভী মোহাম্মদ উল্ল্যা আঢ্য

(১৯৩০-২০০২)

পিতাঃ মরহুম জনাব মোঃ ছলিম উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা আলহাজ্ব মৌলভী মোহাম্মদ উল্ল্যা আঢ্য সাহেবের জন্ম ১৯৩০ সালে। ৭২ বৎসর ২০০২ সালের ১৭ জুন ইন্তেকাল করেন। উনি ২০০০ সালে হজ্জ পালন করেন। আমার দাদারা তিন ভাই ছিলেন। যথাক্রমে রহিম উদ্দিন আঢ্য, ছলিম উদ্দিন আঢ্য ও জালাল উদ্দিন আঢ্য। আমার দাদা মরহুম জনাব মোঃ চলিম উদ্দিন আঢ্য, পিতাঃ মরহুম জনাব আফসার উদ্দিন আঢ্য সাহেবের ২য় ঘরের সন্তান। আফসার উদ্দিন আঢ্য সাহেব ৩ বিয়ে করেছিলেন। আমার বড় দাদা রহিম উদ্দিন আঢ্য সাহেবের দুই ছেলে। আলী আকবর ও আলী আজ্জম। আলী আকবরের দুই ছেলে ফজলুল হক ও আবু তাহের মূল বাড়ীতে থেকে যান। রহিম উদ্দিনের ছোট ছেলে আলী আজ্জম খামার বাড়ীতে চলে আসেন। উনার তিন ছেলে- রহুল আমিন, শামছুল হক ও শাহ আলম (ডাঃ)। আমার দাদা সলিম উদ্দিন আঢ্য সাহেবের পাঁচ ছেলে- মোশারফ, আবদুর রব, আবদুর রশীদ, মৌলভী মোহাম্মদ উল্ল্যা ও আমিন উল্ল্যা ভেলা এবং দুই মেয়ে।

আমরা ৫ ভাই ও ৫ বোন। আমি সকলের বড়। আমি লেখাপড়া শেষ করে সৌদি আরব চলে যাই। দীঘ ২০ বৎসর থাকার পর এখন বাড়ীতে থাকি। আমার ছোট সব ভাইয়েরা সকলে চাটখিল বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করে এবং সেজো ভাই ইতালী থাকে। আমার চাচা-জ্যাঠাদের মধ্যে আমার ছোট চাচা আমিন উল্ল্যা ভেলাই বতমানে জীবিত আছেন।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                                        শহীদ উল্ল্যা

Read more

মরহুম জনাব মোঃ নুর বক্স আঢ্য

পিতাঃ মরহুম জনাব মনির উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা মরহুম জনাব মোঃ নুর বক্স আঢ্য সাহেবেরা সাত ভাই ও এক বোন ছিলেন। উনার বড় ভাই ফয়েজ বক্স সাহেবের তিন ছেলে- মোঃ শামছুল হক, মোঃ নুরুল হক ও মোহাম্মদ উল্ল্যা। উনার দ্বিতীয় ভাই এলাহি বক্স এর তিন ছেলে- আলী হায়দর, আলী হোসেন ও আলী আশ্রাফ। উনার তৃতীয় ভাই আবদুল কাদেরের এক ছেলে মরহুম গোলাম ছরওয়ার। আমার দাদার চতুথ ছেলে নুর বক্স অর্থ্যাৎ আমার পিতা। আমরা তিন ভাই চার বোন। আমার বড় ভাই বদিরউজ্জামান সাহেবের তিন ছেলে- মহিশুজ্জামান, আবুল কালাম ও শামছুর রহমান এবং ছয় মেয়ে। আমার তিন ছেলে- টিটু, টিংকু ও শমির। আমার পিতার পঞ্চম ভাই আবদুল মান্নান সাহেবের কোন পুত্র সন্তান ছিল না। এক মাত্র মেয়ে তফুরা খাতুন। আমার পিতার ভাই আবদুল খালেকের এক ছেলে মোহাম্মদ উল্ল্যা। আমার পিতার কনিষ্ঠ ভাই আবদুল মালেকের দুই ছেলে- খলিলুর রহমান ও লাতু মিয়া। সব চাচা জেঠাদের মধ্যে তিন জন মূল বাড়ীতে থেকে যান এবং বাকী চারজন ধোপাবাড়ীতে চলে আসেন। আমার বড় ভাই দেশের বাড়ীতে থাকতেন। আমার দুই ভাই বতমানে ঢাকায় বাড়ী করে ঢাকায় থাকে। আমার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলের জন্ম ১৯২৮ সালে। আমার ছোট বেলায় আমার পিতা মৃত্যু হয়। আমি ১৯৫০ সালে মেট্টিক পাশ করে ঢাকায় এসে চাকুরী নিই এবং চাকুরী অবস্থায় পাশ করি। আমি ১৯… সালে অবসর গ্রহন করি। আমার ছেলে আমিরিকায় বসবাস করে।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                                        শফিকুর রহমান

Read more

মরহুম জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন

(১৯১৭-১৯৯৯)

পিতাঃ মরহুম জনাব আসলাম আঢ্য

আমার পিতা মরহুম জনাব বেলায়েত হোসেন সাহেব ১৯১৭ সালে জন্ম গ্রহন করেন। আমার দাদা মরহুম জনাব আসলাম আঢ্য সাহেবের পিতা মরহুম জনাব ছফর উদ্দিন আঢ্য সাহব খুব ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি যখন নতুন বাড়ী করে নতুন বাড়ীতে চলে যান তখন উনার তৃতীয় ছেলে আসলাম আঢ্য পুরাতন বাড়ীতে থেকে যান। আসলাম আঢ্য সাহেবের তিন ছেলে। বড় ছেলে আবুল হোসেন কলিকাতায় বাটা সু-কোম্পানীতে চাকুরী করতেন। অনেক দিন চাকুরী করার পর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। কিছু দিন রোগে ভোগার পর ১৯৫৫ সালে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। উনার মৃত্যুর সময় ছেলে মেয়েরা খুবেই ছোট ছিল। আমার পিতা মরহুম জনাব বেলায়েত হোসেন বড় ভাইয়ের ছোট ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দেন।

মরহুম জনাব বেলায়েত হোসেনের ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে। বড় ছেলে নুরুন নবী ও ২য় ছেলে আলমগীর চাটখিল বাজারে বাটার দোকান করে। সেজ ছেলে জাহাঙ্গীর হাজীগঞ্জে বাটার দোকান করে। ছোট ছেলে আবু সাঈদ আমেরিকায় থাকে। আমার পিতা লেখাপড়া খুব বেশি করেননি। উনি বহুগুনের অধিকারী ছিলেন, গ্রামের কোন সালিস-দরবার উনাকে ছাড়া হতো না। উনাকে বাদ দিয়ে বাড়ী/ এলাকায় কোন বিয়ে সাধীর চিন্তাও করা যেতো না। আমার পিতা খুব ধৈয্যশীল ছিলেন। উনার ঐকান্তিক চেষ্টায় আমাদের লেখাপড়া হয় এবং আমার ছোট ভাইয়েরা ব্যবসা বানিজ্যে হাল ধরতে পেরেছে।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                            নুরুন নবী (তরুন)

Read more

মরহুম জনাব ইদ্রিস নবী আঢ্য

পিতাঃ মরহুম জনাব ইমাম উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা ইদ্রিস নবী আঢ্য ১৯… সালে জন্ম গ্রহন করেন। উনার পিতা অর্থ্যাৎ আমার দাদা মরহুম জনাব ইমাম উদ্দিন আঢ্য সাহেবের দুই বিয়ে। উনার প্রথম সংসারে দুই ছেলে আবদুর রেজ্জাক ও তীতা মিঞা। আমার দাদার ২য় সংসারে তিন ছেলে – মুসলীম মিঞা, ইয়াকুব নবী ও ইদ্রিস নবী। আমার পিতা ইন্দ্রিস নবী ভাইদের মধ্যে সবকনিষ্ঠ। আমার পিতারও দুই বিয়ে। আমার পিতার প্রথম সংসারে আমরা ৪ ভাই। বড় ভাই সহিদ উল্ল্যা দ্বিতীয় ভাই শাফায়াৎ উল্ল্যা। আমি তৃতীয় এবং সবকনিষ্ঠ শফিক উল্ল্যা। আমার পিতার ২য় সংসারে আমার এক ভাই সিরাজদ্দৌলা (সিরাজ)। ছোটবেলায় আমাদের মা মারা যান। যার ফলে আমাদের পিতা ২য় বিয়ে করতে বাধ্য হন। আমাদের ছোট মা আমাদেরকে নিজের সন্তানের মত আদর যত্ন করে মানুষ করেন। যার ফলে আমরা সব ভাই লেখাপড়া করে আজ মানুষ হতে পেরেছি। বতমানে আমরা প্রত্যেক ভাই সব দিকদিয়ে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের একমাত্র বোন পেয়ারা বেগম শশুর বাড়ীতে ভালো অবস্থায় আছে। আমার বড় জ্যাঠা মুসলিম মুহুরী সাহেব যোগীবাড়ী ক্রয় কর সে বাড়ীতে চলে যান। ছোট জ্যাঠা মানে ইয়াকুব নবী সাহেব ও দরয়ানী বাড়ীর নিকটে বাড়ী করে সেখানে চলে যান। আমার দুই ছেলে এবং আমার প্রত্যেক ভাইয়ের ও দুই ছেলে।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                                        রফিক উল্ল্যা

Read more

মরহুম আলহাজ্ব রহমত উল্ল্যা চৌধুরী

পিতাঃ মরহুম মাইন উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা মরহুম রহমত উল্ল্যা চৌধুরী সাহেব ১৮ … সালে জন্ম গ্রহন করেন। উনার পিতা মরহুম মাইন উদ্দিন আঢ্য সাহেবের ৪ ছেলে। আমার পিতা সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না। যা সত্য বলে মনে করতেন তা বিনা দ্বিধায় প্রকাশ করতেন। আমার বড় ভাই হাজী গোলাম মাওলা সাহেব ১৯৪২ সালে মেট্টিক পাশ করে রেলওয়েতে চাকুরী নেন। বতমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। উনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। উনার পরে আমি। আমি টাইটেল পাশ করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাজী নিয়োগ প্রাপ্ত হই। দীঘ ৪০ বৎসর যাবত উক্ত এলাকায় কাজীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আমি অনেক টাকার মালিক হই এবং ঢাকায় আমার কয়েকটা বাড়ী আছে। আমার ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। আমার বড় ছেলে গোলাম আজম (নাসিম) লেখাপড়া করে শেয়ারের ব্যবসা করে। অন্যান্য ছেলেরা ও ব্যবসার সাথে জড়িত। আমার ছোট ভাই গোলাম কুদ্দুস এম.এ পাশ করে সরকারী চাকুরী করতো। বতমানে অবসর গ্রহন করেছে। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। ছেলেরা উচ্চ শিক্ষিত।

আমার ভাই আবুল খায়ের সারা জীবন প্রাইমারী স্কুলের মাষ্টার ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখনই সে ইন্তেকাল করে (২১-৯৭-২০০৪)। তার ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আমার সবকনিষ্ঠ ভাই জীবন বীমা কর্পোরেশনে চাকুরী করে। তার ২ মেয়ে।

লেখক- এ.কে.এম. গিয়াস উদ্দিন                                               কাজী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী

Read more

আলহাজ্ব মরহুম জনাব নুর উল্ল্যা মাষ্টার

(১৯১২-১৯৮৪)

পিতাঃ মরহুম জনাব আমিন উদ্দিন আঢ্য

(১৮৫২-১৯৫২)

আমার পিতা মরহুম জনাব নুর উল্যা মাষ্টার ১৯১২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর দাদারা ছিলেন দুই ভাই- আফছার উদ্দিন আঢ্য ও বদর উদ্দিন আঢ্য। আমার দাদারা ছিলেন তিন ভাই- সফর উদ্দিন আঢ্য, ইমাম উদ্দিন আঢ্য এবং আমিন উদ্দিন আঢ্য। আমার দাদা আমিন উদ্দিন আঢ্য ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবি কনিষ্ঠ। আমার দাদা কম শিক্ষিত ছিলেন। তবে তিনি খুব কমঠ ও ধনাঢ্য ছিলেন। আমার দাদার আট ছেলে এবং দুই মেয়ে ছিল। তাঁর ছেলেরা বেশি শিক্ষিত না হলেও সকলেই কম-বেশি লেখাপড়া শিখে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। আমার দাদার বড় ছেলে আক্রাম উদ্দিন আঢ্যের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। দাদার দ্বিতীয় ছেলে আফজল মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেরা- আবুল হোসেন, আবু সাঈদ ও আলী আশ্রাফ। আলী আশ্রাফ ১৯৫২ সালে মেট্টিক পাশ করে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে দীঘদিন চাকুরী করেন। আমার দাদার তৃতীয় ছেলে হাবীব উল্ল্যা ঘাট দশকের প্রথমার্সে সপরিবারে যশোর জেলায় চলে যান। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে। দাদার চতুথ ছেলে মোঃ খলিল উল্ল্যা মাষ্টার নরমাল ও.জি.টি পাশ করে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ে। উনার বড় ছেলে গুলজার আহম্মদ মেট্টিক পাশ করে পারিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। চাকুরীতে থাকাবস্থায় তিনি এম.এ পাশ করেন। দাদার পঞ্চম ছেলে মোঃ এসহাক মিয়ার তিন ছেলে- গোলাম মোস্তফা, লাতু মিয়া ও আবদুল মান্নান। আমার দাদার ষষ্ঠ ছেলে মোঃ ছেরাজল হক মিয়ার এক ছেলে- মোঃ আবদুর রহমান এবং তিন মেয়ে। দাদার সপ্তম ছেলে মরহুম জনাব নুর উল্ল্যা মাষ্টার আমার পিতা। আমরা দুই ভাই ও তিন বোন। আমার ছোট ভাই মোঃ নুরুল আমিন বেনু। সে ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ হতে বি.এস.সি পাশ করে। সে চাটখিল বাজারে ব্যবসা করে। বতমানে সে চাটখিল উপজেলা বি.আর.ডি.বি’র চেয়ারমান। তার এক ছেলে ইসমাঈল-বিন-আমিন (তুহিন) এবং দুই মেয়ে। আমার দাদার সব কনিষ্ঠ ছেলে ফজলুল হক। তার কোন পুত্র সন্তান নেই। তার এক মেয়ে ফজিলতের নেসা। আমার দাদা ১৯৫২ সালে প্রায় একশত বৎসর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

আমার পিতা মরহুম জনাব নুর উল্ল্যা মাষ্টার ১৯৩৬ সালে মেট্টিক পাশ করেন। আজীবন তিনি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। আমার পিতা কেবল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি বিভিন্ন জন-কল্যাণ মূলক কাজ এবং সমাজ সেবার জন্য সু-পরিচিত এবং জনপ্রিয় ছিলেন। উনি ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরন করেন। উনার মৃত্যুর পর এলাকাবাসী তার অবদানের জন্য সম্মানের সহিত তাকে স্মরণ করে থাকেন। আমি উনার বড় ছেলে। ১৯৫৮ সালে চাটখিল হাই স্কুল থেকে মেট্টিক পাশ করি। পরে অথনীতিতে এম.এ পাশ করে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করি। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হতে যুগ্ম-সচিব হিসেবে ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসর গ্রহন করি। আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। একমাত্র মেয়ে নার্গিস সুলতানা (ঝর্না) সকলের বড়। ১৯৯৩ সালে সে মিট-ফোড মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করে।        ১৯৯৫ সালে বি.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীণ হয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে। পরে সে এফ.সি.পি.এস (গাইনী) পাশ করে এবং বতমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কমরত। আমার বড় ছেলে এ.কে.এম মিজানুর রহমান ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করে। ১৯৯৭ সালে সে বি.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীণ হয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে। বতমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী রেজিষ্টার হিসেবে কমরত এবং এম.এস কোর্সে অধ্যয়নরত। আমার দ্বিতীয় ছেলে মোঃ মাহফুজুর রহমান ১৯৯৬ সালে চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমী হতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করে। বতমানে সে বিদেশী জাহাজে সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমরত। আমার তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অর্নাস), এম.কম পাশ করে এবং বতমানে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কৃষি ব্যাংকে কমরত।

আঢ্য বংশের অতীত ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণ সংক্রান্ত স্মরণীকাটি প্রকাশ করতে যারা উদ্যোগী ভুমিকা পালন করেছেন তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তাদের এই প্রয়াস সফল ও সাথক হোক এটাই আমার একান্ত কামনা।

মোঃ রুহুল আমিন

Read more

মরহুম জনাব মাযহারুল ইসলাম চৌধুরী

(১৯০৯-১৯৭৮)

পিতাঃ মোঃ মাইন উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা মরহুম জনাব মাযহারুল ইসলাম চৌধুরী সাহেবের জন্ম ১৯০৯। আমার দাদা মরহুম জনাব আবদুল আজিজ চৌধুরী সাহেবরা ৪ ভাই ছিলেন। আমার দাদা সব ভাইদের মধ্যে বড় ছিলেন। আমার ছোট দাদা মরহুম জনাব লকিয়ৎ উল্ল্যা চৌধুরী সাহেব ১৯৩০ সালে বি.এ পাশ করেন। আমার এই দাদাই আমাদের বংশে প্রথম বি.এ পাশ করেন। আমার পিতা ১৯২৬ সালে মেট্টিক পাশ করেন এবং ১৯৩৪ সালে এম.এ.বি.টি পাশ করেন। তারপর উনি চাটখিল স্কুলের এ্যাসিসন্টে হেড মাষ্টার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে ভারতবষ স্বাধীন হওয়ার পর অতুল প্রসাদ দত্ত ভারতে চলে গেলে আমার পিতা হেড মাষ্টার হন এবং ৩১ বৎসর তিনি হেড মাষ্টার ছিলেন।

আমার পিতা যশ, নাম বা সম্মানের জন্য লোভী ছিলেন না। যদি তার সেই লোভ থাকত তা হলে তার জীবদ্দশাই তার নিজের নামে অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম রেখে যেতে পারতেন। তিনি গ্রামকে ভালবাসতেন। তাই কোন সরকারী চাকুরী গ্রহন করেননি। পুলিশ অফিসারের চাকুরী পেয়েও শিক্ষার মায়া ত্যাগ করে যোগদান করেননি। আজীবন দেশের সেবা করে গেছেন। উনার বহু ছাত্র উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় বড় পদে চাকুরী করছেন। উনার মত ত্যাগী পুরুষের কারনে চাটখিল অঞ্চল এত উন্নত। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের চাটখিল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চাটখিল সরকারী ডিগ্রি কলেজ। তিনি গ্রামে গ্রামে পায়ে হেটে কলেজের জন্য চাদা উঠিয়েছেন এবং প্রাক্তন ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, যে কলেজের জন্য বৃদ্ধ বয়সে এতো পরিশ্রম করেছেন সেই কলেজ উনার নামে না হয়ে অন্যের নামে হয়েছে। যা এলাকাবাসী কোনদিন মেনে নেয়নি। তিনি বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। উনার মত একজন সৎ, ন্যায়পরায়ন চরিত্রের লোক খুব কমই দেখা যায়। কালের আবতনে আমরা হয়ত একদিন তাঁকে ভুলে যাব, কিন্তু উনাকে যাতে চির স্মরণীয় করা যায় সেই উদ্দেশ্যে আমাদের আঢ্য কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে উনার নামে একটা বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্দোগ নেয়া হয়। সেই উদ্দ্যেশে ২০০০ সালে শিল্পপতি রয়েল ফারুকের দশতলা বিল্ডিংয়ের সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় উনার প্রাক্তন ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জনাব ডঃ আবুল খায়ের, বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচীব জনাব আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ জনাব এ.কে.এম আবদুর রব এবং উনার প্রাক্তন কৃতি ছাত্র মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। সকলে এক বাক্যে উনার নামে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে মত দেন। যার ফলে আমরা স্কুল বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসি। যদিও আপাতত স্কুলের কাজ বন্ধ আছে।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আমার পিতা মরহুম জনাব মাযহারুল ইসলাম চৌধুরী সাহেবের জীবনি এই স্বপ্ন পরিষরে লেখা সম্ভব নয়। আমার ভাই গিয়াসউদ্দিন সাহেবের ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা যে স্মরনিকাটি বের করলাম তাতে হয়তো উনাকে সকলের কাছে আরও কিছুদিন স্মরনীয় রাখা যাবে। আমার ভাইয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা আঢ্য বংশের হারানো এবং অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি। আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং উনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

পরিশেষে আমি এই বলে আমার লেখা শেষ করতে চাই যে, আমরা আট ভাই ও তিন বোন ছিলাম। আমার বড় তিন ভাই অকালে মৃত্যুবরণ করেন এবং আমার ছোট ভাই মোরশেদ অল্প বয়সে মারা যায়। আমার ছোট দুই ভাই ফরিদুল আলম চৌধুরী ও ওহিদুল আলম চৌধুরী মাষ্টার ডিগ্রি শেষ করে বতমানে ভাল চাকুরীতে কমরত। আমি সেনা বাহিনীতে লেপ্টেনেন্ট কর্নেল থেকে অবসর নিয়ে আমার দুই মেয়ে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছি।

নুরুল আলম চৌধুরী (নুরু)

Read more

আলহাজ্ব মরহুম ডাঃ মোজাফ্ফারুল ইসলাম

(১৯০৬-১৯৮২)

পিতাঃ মরহুম জনাব ওয়াজিদ আঢ্য

আমার পিতা আলহাজ্ব মরহুম ডাঃ মোজাফ্ফারুল ইসলাম সাহেবের জন্ম ১৯০৬ সালে। উনার পিতা অর্থ্যাৎ আমার দাদা ছিলেন মরহুম জনাব ওয়াজিদ আঢ্য। আমার দাদা তিন ছেলে এক মেয়ে রেখে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ১৯১৩ সালে মারা যান। তখন আমার পিতার বয়স সাত বৎসর। উনি উনার পিতার কথা কখনও স্মরণ করতে পারতেন না। উনি ভাই বোন সকলের মধ্যে বড় ছিলেন। উনার ভাই বোনদেরকে উনার দাদা-দাদী লালণ পালন করে লেখাপড়া করিছেন। তবে উনার (আমার পিতা) লেখাপড়ার প্রধান দায়িত্ব পড়ে উনার চাচা জিতু মাষ্টারের উপর। জিতু মাষ্টার যখন ফরাশগঞ্জে চাকুরী করতেন। তখন উনাকে সেইখানে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। সেইখান থেকে উনি ১৯২৪ সালে প্রথম বিভাগে মেট্টিক পাশ করেন। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য বরিশাল বি.এম কলেজ ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯২৬ আই.এস.সি পাশ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল স্কুল থেকে ১৯৩০ সালে ডাক্তারী পাশ করেন।

প্রথম জীবনে উনি জলপাইগুড়ির এক চা বাগানে চাকুরী করেন। সাত বৎসর সেখানে চাকুরী করার পর দেশে এস উনার চাচা গোলাম রহমান সাহেবের দোকানের দক্ষিণ অংশে ডাক্তারী আরম্ভ করেন। তখন আমাদের এলাকায় কোন পাশ করা ডাক্তার ছিল না বলে উনার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই সুনাম উনার মৃত্যুর এত বছর পর আজও আছে। উনি গরীব লোকদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন। এমনকি ঔষধের খরচও নিতেন না। তিনি জীবনে অনেক টাকা রোজগার করেছেন। কিন্তু রাখতে পারেন নাই। উনি ছিলেন শিল্পমনা এবং অনেকটা খেয়ালী ধরনের। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান করেও শেষ রক্ষা করতে পারেন নাই। গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে শরীক হয়ে তাঁতের মোটা (খদ্দের) কাপড় তৈরি করেন। পরে কয়ার ইন্ডষ্টিজ দেন। নিজ বাড়ীতে নারিকেলের আঁশ থেকে পাপষ, দোরড়ার দড়ি তৈয়ার করেন। নারিকেল থেকে তৈল বাহির করার জন্য ঘানি বসান। নিজের অভিজ্ঞতার অভাবে সেগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। তিনি কয়েক প্রকার ঔষধও তৈরী করে ছিলেন।

তিনি সামাজিক কমকান্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন। একাধিকবার চাটখিল স্কুলের সেক্রেটারী ছিলেন এবং আজীবন স্কুল কমিটির মেম্বার ছিলেন। চাটখিল হাই মাদ্রাসার এবং জুনিয়র মাদ্রাসার সেক্রেটারী ছিলেন। একবার ইউনিয়ন কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন। (এইসব কমকান্ডের মধ্যেও তিনি একটি কাজ নিয়মিত করতেন। তাহলো লেখালেখি। এই লেখালেখির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ছিল। তিনি কোরআনের তরজমা করছিলেন। এই কাজটি উনি অবশ্য শেষ করত পারেনি। তবে প্রায় শেষ করে এনছিলেন। আমার মনে হয় এই একটি কাজ উনি অসমাপ্ত রেখে যান। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তার এই কাজের সঠিক মুল্যায়ন করতে পারিনি। তাই সেগুলো শেষ পযন্ত উইপোকার পেঠে যায়।)

উনি খুব ধম ভিরু লোক ছিলেন এবং ধর্মের প্রতিও উনার গভীর জ্ঞান ছিলো। ১৯৫৭ সালে হজ্জ্ব পালন করেন। আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং প্রবল ইচ্ছা শক্তির কারনেই উনি এতিম হয়েও, জীবনে উন্নতি করেছেন। উনার ভাইয়েরাও লেখাপড়া শিখে বড় হয়েছে। উনার ছোট ভাই আজাহারুল ইসলাম গুরু ট্রেনিং করে সারা জীবন মাষ্টারী করে জীবন চালান।

১৯২৮ সালে উনি উনার চাচা জিতু আঢ্য সাহেবের মেয়ে ছাফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। উনার ওয়ারিশ হিসেবে আমরা দুই ভাই দুই বোন জীবিত আছি। আমার বড় ভাই এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন সাহেবের ৩ ছেলে ১ মেয়ে। বড় ছেলে গাজীপুর ধান গবেষনা কেন্দ্রে সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে কমরত এবং বতমানে ময়মনসিংহ এগ্রিকালচার ইউনিভারসিটিতে পি.এইচি.ডি করতেছে। মেজ ছেলে এম.বি.বি.এস পাশ কর বি.সি.এস ডাক্তার হিসেবে চাটখিল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমরত এবং ছোট ছেলে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাষ বরে ঢাবায় চাকুরী করে। আর একমাত্র মেয়ে বি.এ পাশ করার পর বিয়ে হয়ে যায়। আমার ১ মেয়ে ১ ছেলে। মেয়ে বতমানে বি.এস.সি (অর্নাস) এ অধ্যায়নরত এবং ছেলে আই.এস.সি ফলপ্রার্থী। আমার স্ত্রী স্কুল শিক্ষায়ত্রী। আমি এম.এ পাশ করে জনতা ব্যাংকে চাকুরী করছি।

আমার বড় ভাই অবসর গ্রহনের পর থেকে আঢ্য বংশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। যার ফলেই আজ এই স্মরনিকাটি প্রকাশ হচ্ছে। উনার এই উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনিয় একটি উদ্যোগ। এতে যেমন লাভবান হবে এই প্রজন্ম তেমনিভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও লাভবান হবে বলে আমি মনে করি। এই উদ্যোগের ফলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা আঢ্য বংশের লোকজনকে একে অন্যের সাথে সহজেই পরিচিত করে তুলবে।

পরিশষ আমি কমিটির কাছে একটি অনুরোধ রাখতে চাই যে, উনারা যেন বৎসরে একবার হলেও বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা আঢ্য বংশের সবাইকে একসাথে করেন।

এ.এম.এম শামছুদ্দিন মোহসিন

Read more

আলহাজ্ব মরহুম লকিয়ত উল্যা চৌধুরী

(১৯০২-১৯৯৩)

পিতাঃ মরহুম জনাব মাইন উদ্দিন আঢ্য

আমার পিতা আলহাজ্ব মরহুম জনাব লকিয়ত উল্যা চৌধুরী সাহেব ১৯০২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। উনারা ৪ ভাই ছিলেন। আমার পিতা ছিলেন সকলের ছোট। ছোট বেলা থেক উনি লেখাপড়ায় খুবই ভাল ছাত্র ছিলেন। খুব অল্প বয়সে তিনি মেট্টিক পাশ করেন। ১৯৩০ সালে তিনি বি.এ পাশ করেন। উনি অনক চাকুরী পেয়েছিলেন। শেষ পযন্ত তিনি স্কুল অরর্গানাইজারের চাকুরী গ্রহন করেন। যার ফলে উনাকে অনেক জেলায় চাকুরী করতে হয়েছে। শেষ জীবনে জেলা অরর্গানাইজার হয়ে নোয়াখালী থেকে ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহন করেন। অবসর গ্রহনের পর উনি কিছু দিন চাটখিল স্কুলে মাষ্টারী করেন। আমরা ছয় ভাই ও চার বোন। আমার বড় ভাই ছোট বেলায় মারা যায়। আমার জন্ম ১৯৪৬ সালে। আমি নোয়াখালী জেলা স্কুল থেকে ১৯৬২ সালে প্রথম বিভাগে মেট্টিক পাশ করি।

আমার ছোট ভাই বজলুর রশীদ চৌধুরী বি.কম পাশ কর। বতমানে সে রাজনীতির সাথে জড়িত। মেজ ভাই মামুনুর রশীদ চৌধুরী বি.এ পাশ করে বতমানে নেদারল্যান্ডে আছে। সেজ ভা িমিজানুর রহমান চৌধুরী এম.কম পাশ করে ঢাকায় ব্যবসা কর। ছোট ভাই আলিমুন রশীদ চৌধুরী (নজরুল) লেখাপড়া শিখ এখন বাড়ীতে আছে। আমার বড় চাচা মরহুম জনাব আবদুল আজীজ চৌধুরী সাহেব ধন মানে খুব সমৃদ্ধ ছিলেন। উনার চেষ্টায় আমরা আঢ্য থকে চৌধুরী উপাধী পাই। উনার দুই ছেলে। বড় ছেলে মরহুম জনাব মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী এম.এ, বি.টি। ছোট ছেলে মরহুম ফখরুল ইসলাম চৌধুরী বিমান বাহিনীতে চাকুরী করতেন।

আমার মেজ চাচা মরহুম জনাব আনোয়ার উল্যা চৌধুরী সাহেবের চার ছেলে ও তিন মেয়ে। চার ছেলের মধ্যে ছোট বেলায় দুই ছেলে মারা যায়। আমার ছোট চাচা মরহুম জনাব রহমত উল্যা সাহেবের পাঁচ ছেলে তিন মেয়ে। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে নিশাত জাবীন বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বতমানে চাকুরী করে। বড় ছেলে ফাহিম তৌহিদ চৌধুরী (রনি) এম.বি.এ পাশ করে চাকুরী করে। ছোট ছেলে ফাহিম তৌফিক চৌধুরী (সানি), ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।

আমার স্ত্রী ফেরদৌস বেগম মনবিজ্ঞানে এম.এস,সি পাশ কর সোনালী ব্যাংকে কমকর্তা হিসাবে যোগদান করন। পরে এ.জি.এম হিসাবে ২৫ বৎসর চাকুরী করে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেন।

লেখকঃ এ.কে.এম গিয়াস উদ্দিন                                                এ.টি.এম. হারুন-উর-রশিদ (সলিম)

Read more