(১৯১২-১৯৮৪)
পিতাঃ মরহুম জনাব আমিন উদ্দিন আঢ্য
(১৮৫২-১৯৫২)
আমার পিতা মরহুম জনাব নুর উল্যা মাষ্টার ১৯১২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর দাদারা ছিলেন দুই ভাই- আফছার উদ্দিন আঢ্য ও বদর উদ্দিন আঢ্য। আমার দাদারা ছিলেন তিন ভাই- সফর উদ্দিন আঢ্য, ইমাম উদ্দিন আঢ্য এবং আমিন উদ্দিন আঢ্য। আমার দাদা আমিন উদ্দিন আঢ্য ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবি কনিষ্ঠ। আমার দাদা কম শিক্ষিত ছিলেন। তবে তিনি খুব কমঠ ও ধনাঢ্য ছিলেন। আমার দাদার আট ছেলে এবং দুই মেয়ে ছিল। তাঁর ছেলেরা বেশি শিক্ষিত না হলেও সকলেই কম-বেশি লেখাপড়া শিখে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। আমার দাদার বড় ছেলে আক্রাম উদ্দিন আঢ্যের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। দাদার দ্বিতীয় ছেলে আফজল মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেরা- আবুল হোসেন, আবু সাঈদ ও আলী আশ্রাফ। আলী আশ্রাফ ১৯৫২ সালে মেট্টিক পাশ করে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে দীঘদিন চাকুরী করেন। আমার দাদার তৃতীয় ছেলে হাবীব উল্ল্যা ঘাট দশকের প্রথমার্সে সপরিবারে যশোর জেলায় চলে যান। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে। দাদার চতুথ ছেলে মোঃ খলিল উল্ল্যা মাষ্টার নরমাল ও.জি.টি পাশ করে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তার ছয় ছেলে ও তিন মেয়ে। উনার বড় ছেলে গুলজার আহম্মদ মেট্টিক পাশ করে পারিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। চাকুরীতে থাকাবস্থায় তিনি এম.এ পাশ করেন। দাদার পঞ্চম ছেলে মোঃ এসহাক মিয়ার তিন ছেলে- গোলাম মোস্তফা, লাতু মিয়া ও আবদুল মান্নান। আমার দাদার ষষ্ঠ ছেলে মোঃ ছেরাজল হক মিয়ার এক ছেলে- মোঃ আবদুর রহমান এবং তিন মেয়ে। দাদার সপ্তম ছেলে মরহুম জনাব নুর উল্ল্যা মাষ্টার আমার পিতা। আমরা দুই ভাই ও তিন বোন। আমার ছোট ভাই মোঃ নুরুল আমিন বেনু। সে ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ হতে বি.এস.সি পাশ করে। সে চাটখিল বাজারে ব্যবসা করে। বতমানে সে চাটখিল উপজেলা বি.আর.ডি.বি’র চেয়ারমান। তার এক ছেলে ইসমাঈল-বিন-আমিন (তুহিন) এবং দুই মেয়ে। আমার দাদার সব কনিষ্ঠ ছেলে ফজলুল হক। তার কোন পুত্র সন্তান নেই। তার এক মেয়ে ফজিলতের নেসা। আমার দাদা ১৯৫২ সালে প্রায় একশত বৎসর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
আমার পিতা মরহুম জনাব নুর উল্ল্যা মাষ্টার ১৯৩৬ সালে মেট্টিক পাশ করেন। আজীবন তিনি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। আমার পিতা কেবল শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি বিভিন্ন জন-কল্যাণ মূলক কাজ এবং সমাজ সেবার জন্য সু-পরিচিত এবং জনপ্রিয় ছিলেন। উনি ১৯৮৪ সালে মৃত্যুবরন করেন। উনার মৃত্যুর পর এলাকাবাসী তার অবদানের জন্য সম্মানের সহিত তাকে স্মরণ করে থাকেন। আমি উনার বড় ছেলে। ১৯৫৮ সালে চাটখিল হাই স্কুল থেকে মেট্টিক পাশ করি। পরে অথনীতিতে এম.এ পাশ করে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করি। বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হতে যুগ্ম-সচিব হিসেবে ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসর গ্রহন করি। আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। একমাত্র মেয়ে নার্গিস সুলতানা (ঝর্না) সকলের বড়। ১৯৯৩ সালে সে মিট-ফোড মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করে। ১৯৯৫ সালে বি.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীণ হয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে। পরে সে এফ.সি.পি.এস (গাইনী) পাশ করে এবং বতমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কমরত। আমার বড় ছেলে এ.কে.এম মিজানুর রহমান ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করে। ১৯৯৭ সালে সে বি.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীণ হয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করে। বতমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী রেজিষ্টার হিসেবে কমরত এবং এম.এস কোর্সে অধ্যয়নরত। আমার দ্বিতীয় ছেলে মোঃ মাহফুজুর রহমান ১৯৯৬ সালে চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমী হতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করে। বতমানে সে বিদেশী জাহাজে সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমরত। আমার তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম (অর্নাস), এম.কম পাশ করে এবং বতমানে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কৃষি ব্যাংকে কমরত।
আঢ্য বংশের অতীত ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণ সংক্রান্ত স্মরণীকাটি প্রকাশ করতে যারা উদ্যোগী ভুমিকা পালন করেছেন তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তাদের এই প্রয়াস সফল ও সাথক হোক এটাই আমার একান্ত কামনা।
মোঃ রুহুল আমিন